হুতিদের উদ্যোগকে স্বাগত জানালো জাতিসংঘ
প্রকাশিত : ১১:২২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১১:২৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সৌদি আরবের তেল কারাখানায় দুটি প্লান্টে হুতিদের ড্রোন হামলার ঘটনায় নতুন বার্তা দিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিরা। হামলার পরপরই তারা দায় স্বীকার করলেও শুরু থেকে ইরানকে দায়ী করে আসছে সৌদি সরকার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এমনকি হুতিদের হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ সৌদির। এমন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে যখন ইরানের হামলা ঠেকাতে নতুন করে সৈন্য পাঠাচ্ছে পেন্টাগন তখন সৌদি আরবে হামলা না করার বার্তা দিয়েছে হুতিরা। তাদের এ বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এক বিবৃতিতে, ওই বার্তায় ‘যুদ্ধ শেষ বলে অভিহিত করা হয়’। হামলার এক সপ্তাহ পর এমন বার্তা দিল হুতিরা। তবে তাদের প্রতিশ্রুতি নির্ভর করছেন সৌদির নীতির ওপর।
ইয়েমেনে বছরের পর বছর ধরে সৌদি জোটের হামলায় বহু নারী-পুরুষ ও শিশুকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ফলে, সৌদির ওপর প্রতিশোধ নিতেই এমন হামলা চালায় হুতিরা। হামলায় দায় স্বীকার করার পরও ইরানকে দায়ী করে আসছিল সৌদি। তবে, বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে তেহরান।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হুতির সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাশহাত বলেন, সৌদি আরব থেকে সকল ধর্মঘট তুলে নেয়া হবে এ জন্য ইয়েমেনের পূর্ণাঙ্গ রাজত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এ প্রস্তাব ও উদ্যোগগুলোর ব্যাপারে যদি ইতিবাচক কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানো হয়, তবে আমরা আগের জায়গায় ফিরে যাবো এবং নিজেদের অধিকার নিজেরা প্রতিষ্ঠা করব। ইয়েমেনের সকল দলকে একত্রিত করে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিব।
ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি জোটের হামলায় অন্তত ১০,০০০ মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষকে অনাহারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। যা বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
এছাড়া, ২০১৫ সালে সৌদি আরব ও তার আঞ্চলিক মিত্ররা ইয়েমেনের সংঘাতকে উস্কে দিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদ্রাববুহ মনসুর হাদিকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজধানী সানা দখল করলে, হুতির বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায় সৌদি আরব।
এরপর থেকেই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পাল্টা জবাব দিতে হুতিরা উপসাগরীয় অঞ্চলে অসংখ্য ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট আক্রমণ চালিয়েছে। সবশেষ, সৌদির সবচেয়ে বড় তেল কারখানা অ্যারামকোয় হামলা চালায়।
আই/
আরও পড়ুন